পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবিতা: মাসটা ভাবো ফাগুন

বাতাসে  গুলির  শব্দ মাসকেটর  আনাগোনা আকাশ ফাটা আর্তনাদ বাষ্প  চোখের জল। ফিনকি  দিয়ে  রক্ত  ছোটে লাফায়   কাতাহাট মাটিতে  নাকি পড়ে  আছে চাপ  চাপ  রক্ত দাগ। টাকা পয়সা হাঁস মুরগী ইজ্জ্বত ত্বক  লুট প্রাণের ভয়ে দিচ্ছে মানুষ সবকিছু   ফেলে  ছুট। মারছো  যাকে   সদলবলে কি  তার  অপরাধ জানো কি তুমি তারও  আছে বাঁচার  অধিকার। সবার  চেয়ে  বড় পরিচয়  তোমরা  মানুষ জেনো মানুষকে  মানুষ  বলে একটু তোমরা  মেনো। বুকের ভিতর  তুষের  আগুন ধিকি  ধিকি  জ্বলে হিংসাতেই  বাড়ে  হিংসা গুরুজনেরা  বলে। ভালোবাসা  দিয়ে  নেভাও তোমার মনের আগুন আনন্দের  আবীর  মাখো মাসটা  ভাবো  ফাগুন। --------------///----------- কবি : ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক রচনা: ২০.০৭.২০০৮

কবিতা : এই মেয়েটিই সেই মেয়েটি

ছবি
এই  মেয়েটিই  সেই  মেয়েটি যেই  মেয়েটি  ছলাৎছল। এই  মেয়েটিই  সেই  মেয়েটি যেই  মেয়েটি  নদীর  জল। এই  মেয়েটিই সেই  মেয়েটি পলাশ  হাসি  যার  মুখে এই  মেয়েটিই  সেই  মেয়েটি প্রেমের  নেশা  যার  চোখে। এই  মেয়েটিই  সেই  মেয়েটি চিতল  হরিণ  চোখের  ঢঙ এই  মেয়েটিই  সেই  মেয়েটি হৃদয়  রাঙা  সাতটি রঙ। এই  মেয়েটিই সেই  মেয়েটি মহুয়া  পাকা  গন্ধ  গায় এই  মেয়েটিই  সেই  মেয়েটি মনটা  মাতাল  করলো হায়।                  -------- কবি : ডঃ  গৌতম কুমার মল্লিক বি:দ্রঃ কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১০অক্টোবর,২০১৭ কৃষি জাগরণ পত্রিকার উৎসব  সংখ্যায়।

কবিতা : বাংলা ভাষা

ছবি
কবি : ডঃ গৌতম  কুমার মল্লিক তোমার  ভাষা আমার  ভাষা হৃদয়   মাঝে বাংলা   ভাষা। তোমার  আশা আমার   আশা বাংলা   মোদের প্রাণের   ভাষা। মায়ের   হাসি বাংলা   ভাষা মায়ের   স্নেহ বাংলা   ভাষা। কবিতা   গানে বাংলা   ভাষা হৃদয়   সুরে বাংলা  ভাষা। ছন্দে   ছড়ায় বাংলা  ভাষা ঐক্য  সুরে বাংলা   ভাষা। চোখের  মণি বাংলা  ভাষা রত্ন   খনি বাংলা   ভাষা। শ্লোগানে   শ্লোগানে বাংলা   ভাষা জোরসে   বল বাংলা    ভাষা। সৃষ্টি    সুখের স্বপ্নে    ভাসা মোদের   গর্ব বাংলা   ভাষা। জ্ঞানের   আলো বাংলা   ভাষা বাংলা   মোদের মায়ের  ভাষা।         --------- রচনা তারিখ :২১.০২.২০২৪

রম্য রচনা : এক আস্ত ভূতের সাক্ষাৎকার

ছবি
এক আস্ত ভূতের সাক্ষাৎকার রচনা : ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক যুগ যুগ ধরে ভূতের কথা শুনে আসছি। কেউ কেউ বলেন ভূত আছে। কারো কারো মতে ভূত নেই। এ নিয়ে প্রচুর তর্কবিতর্ক আগেও হয়েছে এখনো হয় আবার ভবিষ্যতেও হতে থাকবে। তবে আমাদের মুখ দেখে রক্তে ভূতের গন্ধের উপস্থিতি সহজেই অনুমান করা যায়। ভাগ্যক্রমে আমি একবার ভূতের দেখা, থুড়ি থুড়ি উপস্থিতি অনুভব করেছিলাম। কালবিলম্ব না করে একটি সাক্ষাৎকারও নিয়ে ফেলি। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি ভূত আমাকে বিমুখ করে নি। আমার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর সহজ সাবলীল ভাষায় দেয়। আমি হুবহু সেই সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরছি।  প্রশ্ন : ভূত যে আছে তার প্রমাণ কি?  উত্তর : শাস্ত্র মতে নিত্যপূজা বিধিতে ভূতশুদ্ধির কথা আছে। ভূতাদয় পূজায় গৃহীত মন্ত্র। এর পরেও কি বলবেন ভূত নেই।  প্রশ্ন : আপনি যে ভূত তার প্রমাণ কি?  উত্তর : আপনার মত এক আস্ত ভূতকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছি, তাই।  প্রশ্ন : ঠিক এই মুহূর্তে আপনি কি করছেন?  উত্তর : দেখতেই তো পাচ্ছেন, শ্যাওড়া গাছের ডালে ঝুলছি।  প্রশ্ন : আপনি সবচেয়ে বেশি আনন্দ কিসে পান?  উত্তর : সর্ষের ভিতর ঘুমিয়ে।  প্রশ্ন : আপনার কি কোন কিছুতে এলার্জি আছে?  উত্তর : রাম না

কবিতা : শিব - দুর্গা কথা

ছবি
দুর্গা  বলেন  এবার  পূজোয় যাবো  না  বাপের  বাড়ি তোমার  সাথে  মহাদেব আমার  হল  আড়ি । সৃষ্টি যজ্ঞ  কি  করিলে এমন  সৃষ্টি  ছাড়া একদিক  যে  বানে  ভাসে আরেক দিকে  খরা। শিব  বলেন  রাগ  করো  না আমার  সোনামণি চারিদিকে  হয়েছে  শুরু গান  আগমনি। গনশা  আমার কাতু  আমার বড়  আদরের  ধন তালে  তালে  ডিসকো  গানে  নাচবে ওদের  মন। লখির  দেখো  মুখ  শুকনো কাঁদছে  আমার  সরি ওদের  মুখ  চেয়েই  যাও করো  নাকো  দেরি। দুর্গা  বলেন  যেতে  পারি শর্ত  আছে  তার বানে  যাদের  ভাসলো ঘর পায়  যেন  আবার। খরায়  যেথায়  ফাটছে  মাটি সেথায়  জল ঢালো মানুষগুলো  ডালেভাতে থাকে  যেন  ভালো।           ------/----- কবি : ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক আমার লেখা এই কবিতাটি ২০০৮ সালে প্রকাশিত আমার বই 'আমি আসছি' তে আছে।

কবিতা : আমি আসছি

ছবি
তোরা  শুনছিস   দিন  গুনছিস আমি  আসছি তোরা  জেনে  রাখ  নেই  রাখঢাক আমি  আসছি। আমি  আসছি  তোরা  নাচছিস কি ?  ক্যাবারে ! ওরে  বাবারে   ! খেল  দেখাবো  আমি  আসছি। আমি  আসছি  কথা  বলতে আমি  মানুষের  কথা  বলবো আমি  আসছি  গান  গাইতে আমি  মানুষের  গান  গাইবো। আমি  শান্তির  কথা  বলবো আমি  মৈত্রীর  সুরে  গাইবো আমি  গোলাপের  সাথে  খেলবো আমি  প্রলাপের  মত  বকবো। আমি  আসছি  তোরা  সাবধান যত  হানাদার  খুব  সাবধান ওরে  বদমাস  খাস  হাড়মাস আমি  আসছি  তোরা  চলে  যা। আমি  হিরোশিমা  নাহি  ঘটাবো আমি  মানবতাবাদ  ছড়াবো আমি  শান্তির  সেনা  সাজবো আমি  মর্ত্যে  গড়বো  স্বর্গ । আমি  আসছি  তোরা  শুনে  রাখ বাজা ঢাকঢোল  বাজা করতাল আমি  ভালোদের  হব  ভগবান আমি  মন্দের  হব  শয়তান। সমাজের  যারা  পিছিয়ে আমি  আনবো  তাদের  এগিয়ে আজও  যে  আছে  ঘুমিয়ে আমি  দেবো গো তারে  জাগিয়ে। আমি  গড়বো  শুধু  গড়বো আমি  রুখবো  যত  ধ্বংস আমি  ঘুষখোরদের  রক্ত চুষে শেষ  করবো  বংশ । আমি  কালোবাজারির  কালোহাত ভেঙে  দেব  দেব  গুড়িয়ে কালো  টাকা  ধন  কুবেরের  লাথি  মেরে  নেব  কাড়িয়ে । আমি  করবো  তোদের  স্বাক্ষর রক্তে  ঢুকাবো   অক্ষর  আমি 

কবিতা : মান্তূদা

ছবি
( গড়বেতার প্রবাদপ্রতিম নাট্য ব্যক্তিত্ব  অনিরুদ্ধ  সরকার স্মরণে  রচিত) দিল্লী থেকে মৃণালকান্তি বিশ্বাসের একটি ফেসবুক পোস্ট। সাথে সাথেই ঝড়ের গতিতে খবরটি পৌঁছে গেল গড়বেতার সংস্কৃতিমনস্ক প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে। পোস্টটি প্রথম দেখেই সবাই মনে মনে ভাবলো-- 'ঠিক পড়ছি তো ! কোনো কিছু ভুল দেখলাম না তো ! আবারও পড়লো! মন বললো এও কি সম্ভব! এই তো সেদিন দেখা হল কণ্ঠস্বরের নাট্য উৎসবে।হাসিমুখে কত কথা হল।কত গল্প হল।কত আলোচনা হল। অসম্ভব ! এ হতে পারে না !মন কিছুতেই যেন বিশ্বাস  করতে পারছে না ! ফেক নিউজ নয় তো........' আশেপাশে  বসে থাকা পরিচিতদের মধ্যে কানাঘুষো হল।তারপর -ই  উঠলো ঝড়।রিং টোনের ঝড়।আস্তে আস্তে থেমে গেল রিং টোনের  ঝড় ও।বাতাস স্তব্ধ হল। মন মানুক বা না মানুক এটাই সত্য হয়ে গেল গড়বেতার প্রবাদপ্রতিম নাট্যব্যক্তিত্ব ,গড়বেতা কন্ঠস্বর সাংস্কৃতিক সংস্থার প্রাণপুরুষ অনিরুদ্ধ সরকার আমাদের সবার প্রিয় ' মান্তূদা' আর আমাদের মধ্যে নেই। ভূমিকম্প হল গড়বেতার সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষের মনে। ক্লাবে ক্লাবে, পাড়ায় পাড়ায়, অলিতে গলিতে, স্টেডিয়ামে  চা  দোকানের আলোচনা মান্তূময় হয়ে উঠলো।     শ্রদ্ধা

অনুকবিতা : মাটি

ছবি
মাটি  মায়ের  মতন মাটিকে  কোরো  যতন। মাটিতে  বীজ  বপন ফলবে  সোনার  রতন। কবি : ডঃ গৌতম  কুমার  মল্লিক বি: দ্রঃ কবিতাটি প্রথম  প্রকাশিত হয়েছিল বর্ধমান থেকে প্রকাশিত 'ভূমিপুত্র ' পত্রিকায়,24 ফেব্রুয়ারি,2013 ।

রম্য রচনা : শ্রাবণ মাস কেমন যাবে

ছবি
শ্রাবণ মাস কেমন যাবে রচনা:  ডঃ  গৌতম কুমার মল্লিক মেষ: কর্মক্ষেত্রে নতুন যোগাযোগ।  ধান্দাবাজির চরম শিখরে, আরোহন করুন। হাত মুষ্টিবদ্ধ করুন। দেখবেন কোন সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয়। বুড়োবাবার হাড়সর্বস্ব দেহে ঠেঙালে যদি পয়সা না পড়ে তবে কোনো সুন্দরী যুবতীর নাদুস নুদুস বাবাকে টোপ দিন। গোঁফে তেল দিয়ে ঘুমোনোর সময় এটা নয়। তাই বলে যত্রতত্র তৈলাক্ত করিবেন না। প্রপার জায়গায় তৈলমর্দন করুন এবং ল্যাজ নাড়তে থাকুন। বৃষ: দেহকষ্ট অবসাদ ভুল বোঝাবুঝি। অযথা কাজ করার কোনো ঝুঁকি নেবেন না। দেহকষ্ট লাঘব করতে বিছানায় শুয়ে জেগে ঘুমানোর অনাবিল আনন্দ উপভোগ করুন। বুকের জ্বালা  বুকেই চেপে রাখুন। লক্ষ্য রাখবেন যেন অন্য কেউ জানতে না পারেন। পাড়ার ছেলেরা বক্স বাজিয়ে নাচানাচি করলে বারান্দা অথবা ব্যালকনিতে এসে দেখুন এবং মুখে  ‘আহা’ ‘আহা’ করুন। বৃষ্টিমুখী কালো মেঘের দিকে তাকিয়ে মেঘে ঢাকা তারার মতো নিজের সুখস্মৃতির  জাবর কাটতে থাকুন। মেয়ে দেখলেই নানা ছলছুতোয় গায়ে পড়ে উপকার করার আপনার  সু-অভ্যাসটিকে আপাতত এ মাসটা দমিয়ে রাখুন। অন্যথায় গৌণভাবে হলেও যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন। মিথুন: বিবাহের শুভযোগ। মনে

রম্য রচনা : এক ব্যস্ত মানুষের সাক্ষাৎকার

ছবি
  এক ব্যস্ত মানুষের সাক্ষাৎকার রচনা :  ডঃ  গৌতম কুমার মল্লিক  প্রত্যেক শহরেই দেখবেন এমন কিছু মানুষ পাওয়া যায় সব ব্যাপারে যাদের ব্যস্ততা নজর কাড়ে। এরা নামে পরিচিত তা নয়। পরিচিতি হাবেভাবে ব্যস্ততায়। ধান্দাবাজ, সুযোগ সন্ধানী। প্রচুর উপাধি এরা আড়ালে আবডালে আলোচনায় পেয়ে থাকেন। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল এরকম-ই একজনের সাথে একান্ত আলাপচারিতার। আমাদের কথোপকথন হুবহু তুলে ধরলাম।  প্রশ্ন :  আপনার নাম?  উত্তর :  বিরক্তি কর।  প্রশ্ন : আপনি কোথায় থাকেন?  উত্তর : জানেন না বুঝি? আমি তালে থাকি। মাতালেও থাকি। প্রশ্ন : আপনার ব্যস্ততার কারণ কি? উত্তর : মোটে-ই ব্যস্ত নই, আমি শশব্যস্ত। প্রশ্ন : আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কি? উত্তর : ওহ! ডিগ্রীর কথা বলছেন? তা থার্ড ডিগ্রি পর্যন্ত অভিজ্ঞতা আছে। প্রশ্ন : এই ব্যস্ত ভাব দেখিয়ে আপনি কি করেন? উত্তর : আখের গোছাই। প্রশ্ন : আপনার কাছে সবচেয়ে বড় জিনিস কি? উত্তর : স্বার্থ। প্রশ্ন : আপনি কি করেন? উত্তর : যাই করি না কেন, তড়িঘড়ি করি। প্রশ্ন : না, না, আমি বলছিলাম আপনি কি কাজ করেন? উত্তর : মুখে যা বলি ঠিক তার উল্টোটা। প্রশ্ন :  আপনার দিন কিভাবে চলে? উত্তর  : রমরমিয়ে চলে