কবিতা: মাসটা ভাবো ফাগুন

ছবি
বাতাসে  গুলির  শব্দ মাসকেটর  আনাগোনা আকাশ ফাটা আর্তনাদ বাষ্প  চোখের জল। ফিনকি  দিয়ে  রক্ত  ছোটে লাফায়   কাতাহাট মাটিতে  নাকি পড়ে  আছে চাপ  চাপ  রক্ত দাগ। টাকা পয়সা হাঁস মুরগী ইজ্জ্বত ত্বক  লুট প্রাণের ভয়ে দিচ্ছে মানুষ সবকিছু   ফেলে  ছুট। মারছো  যাকে   সদলবলে কি  তার  অপরাধ জানো কি তুমি তারও  আছে বাঁচার  অধিকার। সবার  চেয়ে  বড় পরিচয়  তোমরা  মানুষ জেনো মানুষকে  মানুষ  বলে একটু তোমরা  মেনো। বুকের ভিতর  তুষের  আগুন ধিকি  ধিকি  জ্বলে হিংসাতেই  বাড়ে  হিংসা গুরুজনেরা  বলে। ভালোবাসা  দিয়ে  নেভাও তোমার মনের আগুন আনন্দের  আবীর  মাখো মাসটা  ভাবো  ফাগুন। --------------///----------- কবি : ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক রচনা: ২০.০৭.২০০৮

রম্য রচনা : শ্রাবণ মাস কেমন যাবে


শ্রাবণ মাস কেমন যাবে
রচনা: ডঃ  গৌতম কুমার মল্লিক



মেষ: কর্মক্ষেত্রে নতুন যোগাযোগ।  ধান্দাবাজির চরম শিখরে, আরোহন করুন। হাত মুষ্টিবদ্ধ করুন। দেখবেন কোন সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয়। বুড়োবাবার হাড়সর্বস্ব দেহে ঠেঙালে যদি পয়সা না পড়ে তবে কোনো সুন্দরী যুবতীর নাদুস নুদুস বাবাকে টোপ দিন। গোঁফে তেল দিয়ে ঘুমোনোর সময় এটা নয়। তাই বলে যত্রতত্র তৈলাক্ত করিবেন না। প্রপার জায়গায় তৈলমর্দন করুন এবং ল্যাজ নাড়তে থাকুন।





বৃষ: দেহকষ্ট অবসাদ ভুল বোঝাবুঝি। অযথা কাজ করার কোনো ঝুঁকি নেবেন না। দেহকষ্ট লাঘব করতে বিছানায় শুয়ে জেগে ঘুমানোর অনাবিল আনন্দ উপভোগ করুন। বুকের জ্বালা  বুকেই চেপে রাখুন। লক্ষ্য রাখবেন যেন অন্য কেউ জানতে না পারেন। পাড়ার ছেলেরা বক্স বাজিয়ে নাচানাচি করলে বারান্দা অথবা ব্যালকনিতে এসে দেখুন এবং মুখে  ‘আহা’ ‘আহা’ করুন। বৃষ্টিমুখী কালো মেঘের দিকে তাকিয়ে মেঘে ঢাকা তারার মতো নিজের সুখস্মৃতির  জাবর কাটতে থাকুন। মেয়ে দেখলেই নানা ছলছুতোয় গায়ে পড়ে উপকার করার আপনার  সু-অভ্যাসটিকে আপাতত এ মাসটা দমিয়ে রাখুন। অন্যথায় গৌণভাবে হলেও যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন।






মিথুন: বিবাহের শুভযোগ। মনে রাখবেন এটা শ্রাবণ মাস। শিবলিঙ্গে জলঢালার উপযুক্ত সময়। ভক্তিভরে মনে মনে ভোলেবাবার নিকট উপযুক্ত স্ত্রী/স্বামীর রিক্যুজিশন দিন। খুব শীঘ্রই ভোলেবাবা বেশ কিছু নতুন জুটির ঘর বাঁধার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবেন। আপনার স্বামী/স্ত্রীর/’Selection Criterion স্থির করতে বেশি দেরি করবেন না যেন! দুর্গাপুজোর মেলার ভিড়ে ঠেলা খেতে খেতে কাজে নেমে পড়বেন। বেশি  ল্যাপ্টালেপ্টি করবেন না। নিজের চোখকে চশমার রঙিন কাঁচের আড়ালে রেখে লক্ষ্যবস্তুর চোখের তারা লক্ষ্যভেদ করে ভাষা পড়ার চেষ্টা করুন। রেস থাকতে থাকতেই কেস নামান।






কর্কট: প্রাপ্তিযোগ। সম্ভাব্য পাওয়ার জায়গাগুলি নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে চিন্তাভাবনা করুন। বাড়িতে মরণাপন্ন বৃদ্ধ/বৃদ্ধা থাকিলে তাদের বিছানার চারপাশে ঘুরঘুর করুন এবং প্রমাণ করার চেষ্টা করুন আপনিই শেষ সময়ে তার সবচেয়ে কাছের লোক। সুযোগবুঝে হাতড়ান নতুবা কাতরানিই সার হবে। নিয়মিত লটারির দোকানগুলির সাথে যোগাযোগ রাখুন। সামর্থে না কুলালে স্ত্রীর গয়না বিক্রি করুন। কিছু পেতে হলে কিছু তো দিতেই হবে। অবিবাহিতরা প্রেমিকার ঘড়ি বন্ধক দিয়ে লটারির টিকিট কাটুন। প্রেমিকার বাঁকা কথা আপনার মনে আঘাত দিতে পারে, ঠুনকো আঘাতপ্রাপ্তিতে ঘাবড়াবেন না। মনে রাখবেন আপনি এগিয়ে চলছেন চরমপ্রাপ্তির দিকে। সাবধানতা-ভিড়বাসে ভুলবশত অপরের পকেটে হাত রাখিবেন না, গণপিটুনির চোটে পঞ্চত্বপ্রাপ্তির সম্ভাবনার কথাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।


সিংহ: পরকীয়া প্রেমের যোগ। দাদার ঘাড়ে বন্দুক রেখে বৌদিকে ফায়ার করার যে সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে হঠকারি সিদ্ধান্তের ফলে হাত ফসকে যেতে পারে। মাছকে খেলিয়ে তোলার চেষ্টা করুন। একমুখ হাসি সহকারে বউদি/বন্ধু পত্নীর শিশুপুত্র/কন্যাকে নামী দামি কোম্পানির চকলেট সরবরাহ করে আপনার হাইফাই রুচির বার্তা পৌঁছে দিন। গোঁফের কোণে আলতো হাসির প্রলেপ লাগিয়ে চোখে চোখ রেখে হৃদয়ভেদী বান মারুন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে Facial Geography- র ধারাবাহিক পরিবর্তনগুলি Minutely observe করুন বিশেষত হাসির উচ্ছলতা ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির প্রাবল্য, চোখের তারার চঞ্চলতা ও মুগ্ধতা,   ঠোঁটের কম্পন, গালে টোল পড়ার frequency বৃদ্ধি, মুখের ভাষা হারানো ও গাছপাখি আকাশের দিকে তাকানোর অনর্থক লোকদেখানি চেষ্টা। সমগ্র তথ্যের Factorial Randomise Block Design -এ Analysis করে যদি Significant difference দেখেন তবে এগিয়ে যান। আপনার  মোলায়েম হাসির ভাগ থেকে কখনোই গোবেচারা পড়শিদাদা/বন্ধুকে বঞ্চিত করবেন না। কুমিরকে মোহনাতে থাকতে দিন। অহেতুক খাল কাটবেন না। সাবধানতা-অবিবাহিতার সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে বিপদ ডাকবেন না। বাঁশকে ঝাড়েই থাকতে দিন।


কন্যা: সম্মানহানির যোগ। নাক থাকলেই সব ব্যাপারে নাক গলাতে হবে এমনকিছু কথা আছে  কি? চোখে না দেখার ভান করুন। চামড়ার ব্যাপারে গন্ডারের সাথে কথা বলুন, বাম কান দিয়ে যা শুনবেন সরাসরি ডানকান দিয়ে বের করে দিন। মুখ সেলাই করে রাখুন। দু-চারটে ভুড়ভুড়ি কাটবেই তবে এতে চিন্তা করার কিছু নেই অন্ততপক্ষে বিবেক নামক বস্তুটিকে যতদিন ডিপফ্রিজে রাখবেন। শ্বশুর-শাশুড়িকে খুশি করতে বউয়ের কথায় উঠবোস করুন। হঠাৎ প্রতিবেশী হয়ে বিপদ ডাকবেন না। ভিড়বাসে ছেলেদের দিকেই দাঁড়ান। সরাসরি ঘুষ না দিয়ে হাসিমুখে দালালের মাধ্যমে দিন। বসের সামনে এবং ঘোড়ার পিছনে ঘোরাঘুরি বন্ধ করুন। রেডলাইট এলাকায় গেলে পকেট যথেষ্ট ভারী রাখুন। মনে রাখবেন আপনার সম্মান আপনার পকেটে।


তুলা: আকস্মিক দুর্ঘটনা যোগ। মনের সাথে পা এবং চোখের বোঝাপড়া বাড়ান। খাট নয়, মাদুরে ঘুমান। বর্ষার দিনে ঘর থেকে না বেরিয়ে ঘরের কোণে বসে ব্যাঙ ডাকুন। ছাতাতে বজ্রনিরোধক লাগান। ফুটপাতে হাঁটুন। একটি হর্ন কিনে পকেটে রাখুন এবং হর্ন দিতে দিতে পথ চলুন। উড়ন্ত হেলিকপ্টার দেখলে ইষ্টদেবতার নাম জপ করুন।  লক্ষ্য রাখবেন ভিড় এলাকাতে আপনার হাত যেন কোনভাবেই কোন নারীর হাত ধরে টানাটানি না করে। পাড়াতুতো তোলাবাজ দাদাকে নিয়মিত তোলা দিন এবং ঘরে  ছিটকিনি দিয়ে ‘হুক্কাহুয়া হুক্কাহুয়া’ করুন। ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ সাবধানতা- মাস্টারমশাই-এর ডাস্টারের থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করুন।


বৃশ্চিক: দাম্পত্য কলহযোগ। দাম্পত্য জীবনে কলহ থাকবেই। এ নিয়ে মাথা যত কম ঘামাবেন ততই মঙ্গল। মনটাকে শিশুর মতো সরল রাখুন। প্রয়োজনে বেবিফুড খান। মাথা ঠান্ডা রাখুন। প্রয়োজনে একঘন্টা অন্তর অন্তর মাথায় ঠান্ডা পানীয় ঢালুন। বাটি ঘটি থালা এমনভাবে ছোঁড়াছুঁড়ি করুন যাতে নিজেদের গায়ে না লাগে। দেওয়ালে অথবা মেঝেতে ছুঁড়ুন যাতে প্রতিবেশীরা শব্দ শুনতে পায়। প্রতিবেশীদের উপর ভরসা রাখুন। রেশন থেকে কেরোসিন তুলবেন না। দেশলাই কিনবেন না। এ মাসে গ্যাস বুকিং না  করাই ভালো। ভুলবশত রেললাইনের ধারপাশ দিয়ে যাবেন না। অনিদ্রানাশক, কীটনাশক, জীবাণুনাশক, ইঁন্দুরনাশক,  উইপোকানাশক, ছারপোকানাশক, আরশোলানাশক বাড়িতে রাখবেন না। সিলিংফ্যান খুলে দিন। দড়ি ও বাড়ির শক্তপোক্ত গামছাগুলি ফেলে দিন। সহ্যশক্তি বাড়ান। দজ্জাল বউয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে ভেড়া বনে যান। অত্যাচারী স্বামীর হাত থেকে রেহাই পেতে হাতে বটি তুলে নিন। গোপনে একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাতে ভুলবেন না। কফিনের শেষ পেরেকটি নিজহাতে রাখুন।


ধনু: রোগজীবাণু  সংক্রমণ। ডাক্তারখানা এড়িয়ে চলুন। রোগজীবাণু বহনকারী মানুষের ভিড় এখানেই সবথেকে বেশি। যত্রতত্র প্রস্রাব করিবেন না। যত্রতত্র থুতু এবং পানের পিক ফেলা বন্ধ করুন এবং পরিচিতজনদেরও বারণ করুন। ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করুন।  খোশপাঁচড়া ও চুলকানির মলম পকেটে রাখুন।  মুখের সামনে কেউ হো  হো  করে হেসে  উঠলে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে কথা বলুন। ভিড় বাসে অপরের ঘর্মাক্ত বগল থেকে নাক যথাসম্ভব দূরে রাখুন। খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন। নাকে এবং অন্যত্র হাত দিলে ফুচকা বিক্রেতাকে হাত ধুতে বলুন। ডায়োরিয়া থেকে পায়োরিয়া, ম্যালেরিয়া থেকে ফাইলেরিয়া, নিউমোনিয়া থেকে হারনিয়া এমনকি টিটেনাস থেকে ঘুমনাশ পর্যন্ত সমস্ত রোগের সচেতনতাবৃদ্ধি ক্যাম্প এবং সেমিনারে অংশগ্রহণ করুন। নিয়মিত ‘ডক্টর মল্লিকের মাল্টিটনিক’ সেবন করুন। রাস্তায় কুকুর দেখলে ‘ঘেউ-ঘেউ ভুক’ ডাকুন- স্বজাতীয় ভেবে আক্রমণ না করতেও পারে। মাছি হইতে সাবধান। মশাকে সমীহ করে চলুন।


মকর: সাফল্যলাভ। সাফল্যের জন্য লড়ছে হাজারে হাজারে, কিন্তু সাফল্য জোটে গুটিকয়ের কপালে। শুধু ভাগ্যের উপর নির্ভর করলে হবে না। আপনাকে  চেষ্টাও করতে হবে। ‘ল্যাং’ প্রযুক্তির প্রপার ব্যবহার করুন। লোকের কথায় কান দেবেন না। নিজের ঢাক নিজেই সজোরে পেটান। মনে রাখবেন ঢাকিও নিজের ঢাক-ই পেটায়। মিডিয়ার সাথে মাখো মাখো সম্পর্ক গড়ে তুলুন। ছোটবেলায় শেখা সিঁড়িভাঙার অংকগুলো ভুলে যান। সিঁড়ি ভেঙ্গে বেশি দূর ওঠা যায় না। এখন লিফটের যুগ। জীবন অংক ঠিকঠাক মেলাতে সিঁড়ি সরানোর অংক শিখে নিন। প্রতিদ্বন্দ্বীকে গাছে তুলে সঠিক সময়ে সিঁড়ি সরানোর উপর নির্ভর করে আপনার সাফল্য। হৃদয়ে আঁতেলসুলভ একটা গদগদ ভাব রাখুন। মাপা হাসি মাপা কথা বললেও স্বপ্নের আকারটা সীমাহীন রাখুন।





কুম্ভ: সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা। চিন্তা কম করুন। যে যার ভাগ্যে করে খাবে। আপনি শুধু লড়ে যান। প্রশ্ন ফাঁস করার সৎসাহস রাখেন এমন শিক্ষকের নিকট টিউশন দিন। স্কুলে যেতে না চাইলেও চিন্তা করবেন না। সবাইকে আইনস্টাইন হতে হবে এমন কথা আছে কি? মনে রাখবেন বইপোকা ছেলেকে উইপোকা কাটতে পারে।  বরং পুত্র/কন্যাকে চোখ কান খুলে রাখতে বলুন। একটু বেশি মাত্রায় পাঁকাল মাছ খেতে বলুন। ছেলেকে পাড়ার ঠেকে চরতে পাঠান। ছোটবেলা থেকে ‘রংবাজি’টা রপ্ত করুক। ‘মাস্টারি’ ‘ডাক্তারি’-র চেয়ে পেশা হিসেবে ‘দাদাগিরি’ মোটেই খারাপ নয়। কিছু হোক না হোক মেয়েকে কোমর নাচানোটা ভালো করে শেখান। একবার যদি টিভির পর্দায় কোমর নাচানোর সুযোগটা পেয়ে যায়, তবে কেল্লাফতে।


মিন: বিতর্ক বিবাদে জড়িয়ে পড়তে পারেন। রক্তকে ঠান্ডা রাখুন। ন্যাকা সাজার চেষ্টা করুন এবং মাথা চুলকান। ঠেকবাজি বন্ধ করুন। চা দোকানের আড্ডা এড়িয়ে চলুন। একান্তই যদি এড়িয়ে চলতে না পারেন তবে কানকে অফ করুন। সবসময় একটা অন্যমনস্ক ভাব দেখান। সিগারেটের আগুনকে হাত স্পর্শ করতে দিন। এসকেপিজমে বিফল হলেও চিন্তার কিছু নেই। তবে বিড়ালের মতো ‘মিউ মিউ’ করবেন না। জমিদারি মেজাজ রাখুন।  পাতে ভাত থাক বা না থাক বাত মারতে পিছপা হবেন না। বাঘের মতো ‘হালুম হালুম’ করবেন। একমাত্র তখনই প্রতিপক্ষ ‘গেলুম গেলুম’ করবে। চাঁদা দেবেন হাসিমুখে। গাধা কিংবা ঘোড়া হয়ে কোন লাভ নেই। বাজিমাৎ করতে হলে একটু বেশিমাত্রায় ‘খচ্চর’ হোন।







  বি : দ্রঃ

১) প্রথম প্রকাশ : কবিতাপাক্ষিক, ১৮ অক্টোবর, ২০০৩

২) পরবর্তী কালে আমার 'দমফাটানো হাসির রম্য' বইটিতে স্থান পেয়েছে।


মন্তব্যসমূহ

  1. খুবই উপভোগ্য।

    উত্তরমুছুন
  2. ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক২০ মে, ২০২৪ এ ৯:০৯ PM

    ধন্যবাদ।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কবিতা: মা আসছে

রম্য রচনা : এক ব্যস্ত মানুষের সাক্ষাৎকার

কবিতা : মান্তূদা