কবিতা : কখনো কখনো

ছবি
আমার নতুন লেখা বই google books এ কখনো কখনো চেনা মুখগুলি অচেনা মনে হয় কখনো কখনো কায়ার চেয়ে ছায়াকে বেশী ভয় কখনো কখনো চালাকি করে কেউ চালাক হয়। মনে রেখো কেউ কারো নয় শেষ কথা বলবে সময়। আরও পড়ুন আমার নতুন লেখা বই পড়ুন -------- কবি : ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক সমস্ত আপডেট এর জন্য Facebook এ আমার পেজ অনুসরণ করুন

রম্য রচনা : এক ব্যস্ত মানুষের সাক্ষাৎকার

 


এক ব্যস্ত মানুষের সাক্ষাৎকার
রচনা :  ডঃ  গৌতম কুমার মল্লিক


 প্রত্যেক শহরেই দেখবেন এমন কিছু মানুষ পাওয়া যায় সব ব্যাপারে যাদের ব্যস্ততা নজর কাড়ে। এরা নামে পরিচিত তা নয়। পরিচিতি হাবেভাবে ব্যস্ততায়। ধান্দাবাজ, সুযোগ সন্ধানী। প্রচুর উপাধি এরা আড়ালে আবডালে আলোচনায় পেয়ে থাকেন। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল এরকম-ই একজনের সাথে একান্ত আলাপচারিতার। আমাদের কথোপকথন হুবহু তুলে ধরলাম।

 প্রশ্ন :  আপনার নাম?

 উত্তর :  বিরক্তি কর।

 প্রশ্ন : আপনি কোথায় থাকেন?

 উত্তর : জানেন না বুঝি? আমি তালে থাকি। মাতালেও থাকি।

প্রশ্ন : আপনার ব্যস্ততার কারণ কি?

উত্তর : মোটে-ই ব্যস্ত নই, আমি শশব্যস্ত।

প্রশ্ন : আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কি?
উত্তর : ওহ! ডিগ্রীর কথা বলছেন? তা থার্ড ডিগ্রি পর্যন্ত অভিজ্ঞতা আছে।

প্রশ্ন : এই ব্যস্ত ভাব দেখিয়ে আপনি কি করেন?

উত্তর : আখের গোছাই।

প্রশ্ন : আপনার কাছে সবচেয়ে বড় জিনিস কি?

উত্তর : স্বার্থ।

প্রশ্ন : আপনি কি করেন?

উত্তর : যাই করি না কেন, তড়িঘড়ি করি।

প্রশ্ন : না, না, আমি বলছিলাম আপনি কি কাজ করেন?

উত্তর : মুখে যা বলি ঠিক তার উল্টোটা।

প্রশ্ন :  আপনার দিন কিভাবে চলে?

উত্তর  : রমরমিয়ে চলে।




প্রশ্ন : লোকের ধারণা আপনি নাকি একজন গ্রেট-অ্যাক্টর?

উত্তর : ভুল ধারণা। আসলে আমি রি-অ্যাক্টার।

প্রশ্ন : আপনার উর্বর মস্তিষ্ক সম্পর্কে যদি দু-চার কথা বলেন।

উত্তর : কেন বলবো? এটা আমার personal Hide Act- এ পড়ে।

প্রশ্ন : আপনার সাফল্যের চাবিকাঠি কি?

উত্তর : তৈল মর্দন।

প্রশ্ন : আপনার এমন কি কি আছে যা তৈলমর্দনে সহায়তা করে?

উত্তর : প্রথমত কচলানো হাত

দ্বিতীয়ত মোলায়েম হাসি

তৃতীয়ত গদগদ বডি ল্যাঙ্গুয়েজ।

প্রশ্ন : আপনার নেশা?

উত্তর  : নেশা একটাই টাকা।

প্রশ্ন : আপনি কি মনে করেন মানুষের অর্থলোলুপতা বাড়ানো যায়?

উত্তর : অপরের কথা বলতে পারবো না। তবে রক্তে মানি থেরাপি করিয়ে আমি সুফল পেয়েছি।

প্রশ্ন : আপনি ক্ষমতার আনাচে কানাচে ঘোরেন কেন?

উত্তর : কেন না আমি জানি আমাদের সমাজে বাঁশের চেয়ে কঞ্চির দর-ই বেশি।

প্রশ্ন : আপনার সবচেয়ে পছন্দের কাজ কি?

উত্তর : হাটে হাঁড়ি ভাঙ্গা।

প্রশ্ন :কখন এই কাজটি করেন?

উত্তর : ব্ল্যাকমেল টেকনোলজি কাজ না করলে।

প্রশ্ন : আপনি তো একটি যন্তর মশাই, তা কিসে চলেন?

উত্তর : যন্ত্র-তন্ত্র নই ভাই। পিঁপড়ে মাত্র। লাভের গুড়ে চলি।

প্রশ্ন : শুনেছি একসময় আপনি কথায় কথায় ছড়া বাঁধতেন। এখনো কি সে অভ্যাস আছে?

উত্তর : আছে বই কি! তবে এখন গাঁটছড়া বাঁধি।

প্রশ্ন : সারাদিন আপনি  কিসের চিন্তা করেন?

উত্তর : চৌদ্দ প্রজন্মের সুখের চিন্তা।

প্রশ্ন : অবসর সময়ে আপনি কি করেন?

উত্তর : দড়ি টানাটানি।

প্রশ্ন : অবসর সময় একটু আধটু পড়াশোনা করেন না?

উত্তর : ইচ্ছে হয়। সুযোগ পাই কই। তবে একেবারেই যে পড়ি না তা নয়। মাঝে মাঝে বইয়ের পাতায় মুখ থুবড়ে  পড়ি।

প্রশ্ন : আপনি কি করেন না?

উত্তর : প্রতিবাদ।

প্রশ্ন : আপনি অপরকে কি অবস্থায় দেখতে চান?

উত্তর : ব্যতিব্যস্ত।

প্রশ্ন : আপনি কি সহ্য করতে পারেন না?

উত্তর : সমালোচনা।

প্রশ্ন : আপনি কিসে কাতর হন?

উত্তর : মৃদু লাঠিচার্জে।

প্রশ্ন : আপনি আত্মসমালোচনা করেন?

উত্তর : সব সময় কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে ব্যস্ত থাকি। সময় পাই কই?

প্রশ্ন : আপনি কিভাবে থাকতে চান?

উত্তর  : ভিড়ে ঠাসা অবস্থায় টিকে থাকতে চাই।

প্রশ্ন : আপনি কি ভয় করেন?

উত্তর : জনতার  রোষানল।

প্রশ্ন  : কোন কিছু প্রাপ্তির সম্ভাবনা দেখলে আপনার কি হয়?

উত্তর : চোখগুলো জ্বল জ্বল করে।

প্রশ্ন : মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক সম্পর্কে আপনার ধারণা কি?

উত্তর : ভাজা  পাঁপড়।

প্রশ্ন : আপনি মানুষকে কি দিয়ে সুখ পান?

উত্তর : বাঁশ দিয়ে।

প্রশ্ন : সবচেয়ে বেশি আনন্দ আপনি কিসে পান?

উত্তর  : ঘোলাজলে মাছ ধরে।

প্রশ্ন : অপরের আনন্দে আপনি কি করেন?

উত্তর : প্রথমে বাগড়া দিই। না পারলে ভাগ বসাই।

প্রশ্ন : আপনি আপনার পরিচিতদের কি দিতে চান?

উত্তর : টেক্কা।




প্রশ্ন : আপনি অপরকে কি কি দিয়ে সাহায্য করেন?

উত্তর : ঢপ দিই। গ্যাস দিই। উস্কানি দিই।

প্রশ্ন : না না আমি বলছিলাম  কোন আর্থিক সাহায্য?

উত্তর : আমি মানুষকে বিপথে নিয়ে যাওয়ার বিপক্ষে।  অর্থ অনর্থের মূল। তাই অপরকে অর্থ দিয়ে তার জীবনটাকে অনর্থ করতে চাই না। সমস্ত অর্থ বিষ পান করে নীলকন্ঠ হতে চাই।

প্রশ্ন : আপনি কি হারাতে চান না?

উত্তর : ধৈর্য। 

প্রশ্ন : আপনি কি নিতে ভালোবাসেন?

উত্তর : গোটাটা নয়, একটু কেটে কেটে নিই আর কি? আরে বাবা কাট-মানির কথা বলছিলাম।

প্রশ্ন : আপনি কিসে সবচেয়ে বেশি অস্বস্তি অনুভব করেন?

উত্তর : বসের কটমট চাউনিতে।

প্রশ্ন : বিপদে পড়লে আপনি কি করেন?

উত্তর : প্রথমে ম্যানেজ করার চেষ্টা করি। না পারলে কেটে পড়ি।

প্রশ্ন : অপরের বিপদে আপনি কি করেন?

উত্তর : কাঠি দিই।

প্রশ্ন : কখন আপনার মন খারাপ লাগে?

উত্তর : কোণঠাসা হলে।

প্রশ্ন : অপরের সুখে আপনি কি অনুভব করেন?

উত্তর : গাত্রদাহ।

প্রশ্ন : আপনার পছন্দের স্থান কি?

উত্তর : বেচার হাট।

প্রশ্ন : আপনি কোন স্থান এড়িয়ে চলেন?

উত্তর : কাঠগড়া।

প্রশ্ন : আপনি কখন পাতলা হন?

উত্তর : সংকট ঘনালে।

প্রশ্ন : আপনি ডানহাতি না বামহাতি?

উত্তর : অজুহাতি।

প্রশ্ন : কোন জিনিসটি আপনার মধ্যে নেই?

উত্তর : আত্মতুষ্টি।

প্রশ্ন : শুনেছি আপনি মানুষকে উপদেশ দিতে ভালোবাসেন? কিন্তু কেন?

উত্তর : এতে কোন  খরচা নেই 

প্রশ্ন : চাপে পড়লে আপনি কি করেন?

উত্তর : বাপকে ডাকি।

প্রশ্ন : আপনি ভগবানে বিশ্বাস করেন?

উত্তর : শুধু ভগবানে কেন আমি ভুতেও বিশ্বাস করি।

প্রশ্ন : শুনেছি, আপনি অযথা সময় নষ্ট করেন না?

উত্তর : ঠিক-ই শুনেছেন, তবে সুযোগ পেলে।

প্রশ্ন : কেউ কেউ বলেন আপনি নাকি কপট চরিত্রের লোক?

উত্তর : সে কথা তো আমি অকপটে স্বীকার করি।

প্রশ্ন : কেউ কেউ বলেন আপনি জীবনটাকে ভোগ করছেন বটে?

উত্তর : ভোগ আর করলাম কই সব-ই তো উপভোগ।

প্রশ্ন : আপনি কিছু ত্যাগ করেন না?

উত্তর : করি তো। কিন্তু সেগুলোর কথা বলে কে? মল, মূত্র আর একটার কথা নাই বা বললাম।

প্রশ্ন : আপনার নামে কিছু চুরির অপবাদ আছে?

উত্তর : তা হয়তো আছে। তবে বিশ্বাস করুন যা করেছি সবই ভাবের  ঘোরে।

প্রশ্ন : উৎসব-অনুষ্ঠানে আপনি কি করেন?

উত্তর  : গো-গ্রাসে গিলি।

প্রশ্ন : শহরের প্রায় প্রতিটি রক্তদান শিবিরেই আপনাকে দেখা যায়। আপনি জীবনে কতবার রক্ত দিয়েছেন?

উত্তর : একবারও না। আমি  উৎসাহ দিই।

প্রশ্ন : আপনাকে সভাপতিত্ব করতে হয় না, প্রধান অতিথি হতে হয় না, বিশেষ অতিথি হতে হয় না, অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে হয় না। তবুও  শহরের প্রতিটি অনুষ্ঠানে আপনার উজ্জ্বল উপস্থিতি সকলের নজর কাড়ে। আপনি কি করেন?

উত্তর : ঘুরঘুর করি।

প্রশ্ন : আপনার প্রথম সারিতে যেতে ইচ্ছে হয় না?

উত্তর : মাথা খারাপ না কি!  ইঞ্জিন হওয়ার  ঝক্কি জানেন?  আপনাদের পাঁচজনের আশীর্বাদে বাকি জীবনটা বগি হয়েই কাটিয়ে দিতে চাই। বগির মত সুখী কে আছে?  ইঞ্জিন বিগড়ালে অন্য ইঞ্জিনে সেঁটে যাই।

প্রশ্ন : লোকে বলে আপনি সর্বঘাটে কাঁঠালী কলা। আপনাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের মিছিলে দেখা গেছে?

উত্তর : মিছিলে পা মেলাই বটে, মন মেলাই না।

প্রশ্ন : আপনার কাছে সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক কি?

উত্তর : গোদের উপর বিষ ফোঁড়া।

প্রশ্ন : আপনি কি খেতে ভালোবাসেন? 

উত্তর : লুটেপুটে খেতে।

প্রশ্ন : আপনি কার উপর সবচেয়ে বেশি ভরসা করেন?

উত্তর : সবারই কাছে কিছু না কিছু আশা করি বটে, কাউকেই ভরসা করি না।

প্রশ্ন : আপনার প্রিয় ‘লিডার’ কে?

উত্তর : চিয়ার্স লিডার। (বিশ্বাস করুন মন থেকেই বলছি)।

প্রশ্ন : অনেকে আপনাকে ‘ভন্ড’ বলে? আপনি রাগ করেন না?

উত্তর : কেনো দুঃখ করবো। ওরা তো হিংসায় জ্বলে। আমি সিদ্ধিলাভ করেছি তো!

প্রশ্ন : আপনি আবার তপস্যা-টপস্যাও করেছেন নাকি?

উত্তর : নাই বা করলাম। স্বার্থসিদ্ধিলাভ তো করেছি।

প্রশ্ন : আপনি রাগলে কি করেন?

উত্তর : গরগর করি আর আবোল-তাবোল বকি।

প্রশ্ন : আপনার প্রিয় খেলা কি?

উত্তর : ডিগবাজি।

প্রশ্ন : আপনি গান করেন?

উত্তর : হ্যাঁ, সাফাই গাই। তাছাড়াও গুণগান  তো করি-ই। 

প্রশ্ন : আপনি কিছু বাজাতে জানেন?

উত্তর : ঢাক পেটাই। তাছাড়া  নখ বাজানোতেও চোস্ত।

প্রশ্ন : আপনাকে একবার একটি বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছিল শুনেছি।

উত্তর : ঠিকই শুনেছেন। একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির একটি বিজ্ঞাপনে একটি নির্বাক চরিত্রে অভিনয়  করেছিলাম।

প্রশ্ন : এটা ফ্যাশনের যুগ। মানুষ এখন স্টাইল-সর্বস্ব। বিখ্যাত-অখ্যাত সকলেরই হাঁটাচলা ওঠা  বসায় ফ্যাশনের  প্রভাব  দেখা যায়। আপনার জীবনে ফ্যাশনের কোন প্রভাব নেই?

উত্তর : আছে বই কি! জানেন না! তবে জেনে নিন। ‘হন্তদন্ত’ হয়ে হাঁটি। ‘নড়েচড়ে’ বসি। ‘ফুলেফেঁপে’ উঠি।

প্রশ্ন : আপনি কোন সৃষ্টিমূলক কাজের সাথে যুক্ত আছেন নাকি? থাকলে কি ‘সৃষ্টি’ করেছেন?

উত্তর : প্রচুর প্রচুর প্রচুর বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছি।

প্রশ্ন : আপনার জীবনের আফশোস?

উত্তর : ম্যাজিক ফিগার হতে না পারা।

প্রশ্ন : আপনার জীবনে দুঃখ কি?

উত্তর : মানুষ  হয়ে জন্মালাম কিন্তু ঘোড়ার মতো দামি হতে পারলাম না।

প্রশ্ন : আপনার জীবনের আশ্চর্য ঘটনা কি?

উত্তর : একবার এক জ্যোতিষী আমায় বলেছিলেন আমার মৃত্যু হবে।  কিন্তু আশ্চর্যের ঘটনা হলো আমার মৃত্যু হয়নি। আমার মানবিকতার অপমৃত্যু ঘটেছিল।

প্রশ্ন : ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি আপনার উপদেশ কি?

উত্তর : নিজের বুঝ আগে রে।

নইলে পড়বে  ফাঁপড়ে!

প্রশ্ন : আপনার জানা কাজ উদ্ধারের সহজ পদ্ধতির কথা কিছু বলবেন?

উত্তর : ইনফেকটিভ ভেজিটেশন।

কিছু বুঝলেন? বুঝলেন না তো।

তাহলে খোলসা করেই বলি। বস 

বস বলে হার্টকে বশ করে

Brain কে অবশ করে দিন।

প্রশ্ন : আপনার জীবনের মূলমন্ত্র কি?

উত্তর : যখন যেমন তখন তেমন।






 

    বি : দ্রঃ

১) লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল বর্ধমান থেকে প্রকাশিত 'ভূমিপুত্র' (২০০৮,শারদ সংখ্যায়) পত্রিকাতে।

২) পরবর্তীকালে আমার 'দম ফাটানো হাসির রম্য' বইটি তে স্থান পেয়েছে।


মন্তব্যসমূহ

  1. এরকম লেখা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে কারন বর্তমানের প্রজন্ম সকলে মোবাইলে আসক্ত হয়ে থাকে গেম, ফেসবুক ও অন্যান্য কিছুতে।সেখানে এতো সুন্দর লেখা পাবো বলে ভাবাই যায়না তাও আবার ব্যস্ত একজনের সাক্ষাৎকার নিয়ে।ধন্যবাদ স্যার আপনাকে এরসাথে যিনি তার ব্যস্ততার মাঝেও এতো গুলো প্রশ্ন শোনার জন্য এবং উত্তর দেওয়ার জন্য।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. ধন্যবাদ।আমার রম্য ভালো লেগেছে শুনে উৎসাহিত হোলাম।

      মুছুন
  2. উত্তরগুলি
    1. ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক২৭ জুন, ২০২৪ এ ১:৪৮ PM

      অনেক অনেক ধন্যবাদ।

      মুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কবিতা: মা আসছে

কবিতা : মান্তূদা