কবিতা : কখনো কখনো

ছবি
আমার নতুন লেখা বই google books এ কখনো কখনো চেনা মুখগুলি অচেনা মনে হয় কখনো কখনো কায়ার চেয়ে ছায়াকে বেশী ভয় কখনো কখনো চালাকি করে কেউ চালাক হয়। মনে রেখো কেউ কারো নয় শেষ কথা বলবে সময়। আরও পড়ুন আমার নতুন লেখা বই পড়ুন -------- কবি : ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক সমস্ত আপডেট এর জন্য Facebook এ আমার পেজ অনুসরণ করুন

রম্য রচনা : এক আস্ত ভূতের সাক্ষাৎকার


এক আস্ত ভূতের সাক্ষাৎকার

রচনা : ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক




যুগ যুগ ধরে ভূতের কথা শুনে আসছি। কেউ কেউ বলেন ভূত আছে। কারো কারো মতে ভূত নেই। এ নিয়ে প্রচুর তর্কবিতর্ক আগেও হয়েছে এখনো হয় আবার ভবিষ্যতেও হতে থাকবে। তবে আমাদের মুখ দেখে রক্তে ভূতের গন্ধের উপস্থিতি সহজেই অনুমান করা যায়। ভাগ্যক্রমে আমি একবার ভূতের দেখা, থুড়ি থুড়ি উপস্থিতি অনুভব করেছিলাম। কালবিলম্ব না করে একটি সাক্ষাৎকারও নিয়ে ফেলি। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি ভূত আমাকে বিমুখ করে নি। আমার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর সহজ সাবলীল ভাষায় দেয়। আমি হুবহু সেই সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরছি।

 প্রশ্ন : ভূত যে আছে তার প্রমাণ কি?

 উত্তর : শাস্ত্র মতে নিত্যপূজা বিধিতে ভূতশুদ্ধির কথা আছে। ভূতাদয় পূজায় গৃহীত মন্ত্র। এর পরেও কি বলবেন ভূত নেই।

 প্রশ্ন : আপনি যে ভূত তার প্রমাণ কি?

 উত্তর : আপনার মত এক আস্ত ভূতকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছি, তাই।

 প্রশ্ন : ঠিক এই মুহূর্তে আপনি কি করছেন?

 উত্তর : দেখতেই তো পাচ্ছেন, শ্যাওড়া গাছের ডালে ঝুলছি।

 প্রশ্ন : আপনি সবচেয়ে বেশি আনন্দ কিসে পান?

 উত্তর : সর্ষের ভিতর ঘুমিয়ে।

 প্রশ্ন : আপনার কি কোন কিছুতে এলার্জি আছে?

 উত্তর : রাম নামে।

 প্রশ্ন : আপনার দুর্বলতা কি?

 উত্তর : একাধিক মানুষের সামনে যেতে পারি না।

 প্রশ্ন : আপনার প্রিয়তমার নাম কি?

 উত্তর : এঁশো পেত্নী।

 প্রশ্ন : আপনাদের প্রিয় মানুষ কে কে?

 উত্তর : গুপি ও বাঘা।

প্রশ্ন : আপনার ফাঁকা সময় কাটে কিভাবে?

 উত্তর :  ভুতুড়ে বিল পাঠিয়ে।

 প্রশ্ন : আচ্ছা মানুষের মতো আপনাদেরও কি  মিছিল মিটিং হয়?

 উত্তর : হয় বৈ কি! ভূত বলে কি আমরা মানুষ নই।

 প্রশ্ন : তা আপনাদের মিটিংগুলি কোথায় হয়?

 উত্তর : কোথায় আবার! সবাই তো জানে ভূতভূতনির চরে।

 প্রশ্ন : ভূতের বাপের নাম কি?

উত্তর : মানুষ।

প্রশ্ন : তা কি করে হয়?

 উত্তর : কেন আপনারাই তো বলেন ভূত আমার পুত, পেত্নী আমার ঝি।

 প্রশ্ন : ভূতদের শ্রাদ্ধশান্তি হয়?

 উত্তর : আমাদের নাইবা হলো, ভূতের বাপের তো হয়!

 প্রশ্ন : আপনাদের রাজ্যের রাজধানীর নাম কি?

  উত্তর : ভূতশহর।

 প্রশ্ন : আপনাদের ভূতেদের মধ্যে ঝগড়া ঝামেলা হয়?

 উত্তর : আপনাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়, আর আমাদের ভূতেদের মধ্যে হবে না?

 প্রশ্ন : তা আপনাদের মধ্যে ঝগড়া ঝামেলা হলে নালিশ জানাতে কোথায় যান?

 উত্তর : কোথায় আবার যাবো। থানা শহর ভূতামাতে যাই।

 প্রশ্ন : আপনারা স্নানটান করেন, না করেন না?

 উত্তর : করি বৈকি। তবে যেখানে সেখানে নয়। ভূতগড়া-তে  করি।

 প্রশ্ন : ভরদুপুরে আপনারা কোথায় থাকতে ভালোবাসেন?

 উত্তর : ভূতভৈরবী ঝোপে।

 প্রশ্ন : আপনারা সিনেমা টিনেমা দেখেন নাকি?

উত্তর : সুযোগ পেলে কে ছাড়ে। তবে টিনেমা কখনো দেখিনি।

 প্রশ্ন : আপনার দেখা সেরা ছবির নাম কি?

 উত্তর : শ্রীমান ভূতনাথ।

 প্রশ্ন : আপনাদের ভূতপ্রিয় অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের নাম একটু বলবেন।

উত্তর : নিশ্চয়ই। প্রিয় নায়ক-কুমার ভুতো। প্রিয় নায়িকা-মিস ভুতি। খলনায়ক-ভুতুমপুরী।

 প্রশ্ন : আপনাদের কোন ঠাকুর দেবতা আছে?

উত্তর : কেন, ভূতেশ্বর, ভূতনাথের পূজা কি তোমরা কর না!

প্রশ্ন : আপনাদের কি খেতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে?

 উত্তর : লুটেপুটে খেতে। তবে সমস্যাও আছে। আমরা একভূতে তো আর লুটেপুটে খেতে পারি না। লুটেপুটে  খাওয়ার জন্য লাগে বারো ভূত।

 প্রশ্ন : আপনারা মানুষকে ভয় দেখান কেন?

 উত্তর : কোন  দুঃখে মানুষদের ভয় দেখাতে যাবো। খেয়ে দেয়ে কি আমাদের কোন কাজ নেই।

 প্রশ্ন : শুনেছি ভাবনার ভূতে মানুষ পাগল হয় হিংসার ভূতে জ্বলেপুড়ে মরে-এসব কি সত্য নয়?

 উত্তর : আমাদের ঘাড়ে দোষ আপনারাই চাপিয়েছেন। আমরা কারো ঘাড়েও চাপি না মাথায়ও না আর কাউকে ধরিও না। শুধু শুধু আপনারা যদি ভূত ছাড়ান তো আমরা কি করতে পারি। বিজ্ঞানের কথা কি আপনারা সজ্ঞানে বলেন?

 প্রশ্ন : আপনাদের ব্যাপার স্যাপার গুলো সব যেন কেমন অদ্ভুত অদ্ভুত।

 উত্তর : হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন। আমাদের ব্যাপার স্যাপার গুলি একটু অদ্ভুত ধরনেরই বটে।

 প্রশ্ন : যদি অভয় দেন তো একটা কথা বলি  আমরা একটা কথা শুনেছি সব শিয়ালের এক রা। শিয়াল সমাজের মতো ভূত সমাজেও কি এরকম কোন অদ্ভুত নিয়ম আছে?

 উত্তর : থাকবে না মানে ! আলবাৎ আছে। আমরা ভূতেরা সর্ব-ভূতে-সু বিরোধী।

 প্রশ্ন : ব্যাপারটা ঠিক বোঝা গেল না।

 উত্তর : এটা না বোঝার কি আছে। মগজটা ডিপফ্রিজে না রেখে ওভেনে ফোটান। মাথা ফেটে বুদ্ধি বেরোবে। আরে বাবা তিনটে মাত্র তো কথা। সর্ব মানে সব, ভূতে বলতে ভূতেদের কথা বলা হয়েছে আর  সু এর বাংলা জুতো। ব্যাস! এইবার প্রাচীর ভেঙে ইট বার করে দিলাম। এবারে বোঝা গেল তো সবভূতই জুতো বিরোধী। না পরে না মারে।

 প্রশ্ন : বাহ। দারুন ব্যাখ্যা তো! আপনার কাছে আরও কিছুক্ষন থাকলে আরো অনেককিছু জানতে পারবো।

  উত্তর : কিন্তু আমার হাতে তো সময় অল্প। রাত এগারোটা হল। রাত বারোটায় ভূতমারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ আয়োজিত ভূতফোবিয়ার উপর আমার একটা লেকচার আছে। সে এলাহি ব্যাপার। এসব ব্যাপার স্যাপার আপনাদের মাথায় ঢুকবে না। অনুষ্ঠানটির স্পনসরার ভূতায়নের পথ প্রদর্শক মেসার্স ভূতাত্মা এন্ড প্রেতাত্মা।

প্রশ্ন : আমার আরো অনেক প্রশ্ন ছিল। দয়া করে যদি একটু সময় দেন।

 উত্তর : তাড়াতাড়ি বলে ফেলুন। একদম দেরি করবেন না।

 প্রশ্ন : সবচেয়ে বেশি আপনাদের কোথায় দেখা যায়?

 উত্তর : ভূতের গল্পে।

 প্রশ্ন : তাহলে কি আপনারা গল্পই!

 উত্তর : নো কমেন্টস।

 প্রশ্ন : তাহলে কি আপনাদের কোন অস্তিত্ব নেই।

 উত্তর : পুরো ব্যাপারটিই ভৌতিক। এর বেশি কিছু বলব না।

 প্রশ্ন : মানুষ আপনাদের ভয় করে কেন?

 উত্তর : তা মানুষ-ই জানে। তবে আমরা জানি সব মানুষ ভয় করে না কিছু কিছু মানুষ করে।

প্রশ্ন : তা আপনারা জানলেন কি ভাবে?

 উত্তর : তু চিজ বাড়ি হ্যায় মস্ত মস্ত। তাহলে খুলেই বলি শুনুন। আমরা আবির্ভূত হলে যারা পরাভূত হয় তারা ভয় পায়, তখন আমরা তাদের দেখা দিই। আর আমরা আবির্ভূত হলেও যারা ভয় পায় না তাদের দেখে আমরা আনন্দে বিগলিত হয়ে বাষ্পীভূত অবস্থায় বাতাসে দ্রবীভূত হই। আমাদেরকে যারা ভয় করে না আমরাও তাদের দেখা দিই না।

 প্রশ্ন : সত্যি করে বলবেন কি আসলে ভূতেরা দেখতে কেমন?

 উত্তর : পুরাতন ভৃত্য পড়েন নি। ভূতেরা আসলে রবি ঠাকুরের কেষ্টার মতো।

 প্রশ্ন : একটা কথা আজকাল শোনা যায় বড় বড় গাছ পোড়াবাড়ির অভাবে ভূতের  সংখ্যা নাকি কমে যাচ্ছে। আপনারা কি মানুষের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কাছে হেরে যাচ্ছেন?

 উত্তর : টেকনোলজিতে আমাদের উন্নতিও কম হয়নি। হাম কিসিসে কম নেহি। ন্যাড়া ভূত, জ্ঞাড়া ভূত, ট্যারা ভূত, গেছো ভূত, মেছো ভূত, খাঁদা ভূত, পেঁচো ভূত, ব্রেহ্মদত্যি, শাকচুন্নী, একানড়ি, মামদো ভূত তো ছিলই। সম্প্রতি হাইটেক ভূত মার্কেটে রীতিমতো সাড়া  ফেলে দিয়েছে। শুনলে আনন্দিত হবেন ২০০৩ সালে হাইটেক-ভূত ভূতরত্ন পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। আপনারা রীতিমতো গবেষণা করে চাঁদে গেছেন। আপনারা যানবাহন ছাড়া অচল। আমাদের না লাগে যান, না লাগে বাহন। এগিয়ে আছে কারা? আপনারা সর্ষে নিয়ে প্রচুর গবেষণা করেছেন।  সর্ষের ওয়েল পারসেন্ট বাড়িয়েছেন। সর্ষের উন্নত ধরনের নতুন  নতুন জাত বের করেছেন। কিন্তু সর্ষের ভিতর ভূতের বজ্জাতি দূর করতে পেরেছেন কি?

প্রশ্ন : আপনাদের রাজার নাম কি?

 উত্তর : আমাদের একটি রাজা। নাম কিম্ভুত। ইংরেজিতে King বাংলার ভূতের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে কিম্ভূত হয়েছে।



 প্রশ্ন : আপনারা কি অপছন্দ করেন?

 উত্তর : মুখোশ।

 প্রশ্ন : আপনাদের বিজ্ঞান প্রযুক্তির কথা কিছুক্ষণ আগেই বলেছেন। Kindly যদি আপনাদের সংস্কৃতির কথা একটু বলেন?

উত্তর : আমাদের বলতে হবে কেন? ‘দিনের শেষে ভূতের দেশে’ পড়েননি! প্রখ্যাত ছড়াকার ভবানীপ্রসাদ মজুমদারই তো লিখেছেন-

“খেমটা-ঝুমুর ভাংরা-বিহু

 ধিন্ তা-ধিনা-তাধিন

 তা থৈ তা থৈ হাসি-হইচই

 ভূতেরা সবাই স্বাধীন।

 দিনের শেষে ভূতের দেশে

 ভূতরা জোড়ে গান

 গাইলে সুধী মরনমুখী

 যায় জুড়িয়ে প্রাণ!”

 প্রশ্ন : আপনাদের ভূতেদের কি কোন জাতীয় সংগীত আছে?

উত্তর : আমাদের জাতীয় সংগীত নেই। আছে ভূতীয় সংগীত। কিছুদিন আগে ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের ‘ভূতুড়ে জাতীয় সংগীত’ আমাদের ভূত সমাজে ঝোড়ো হাওয়া তোলে। সঙ্গে সঙ্গে ভূতের রাজা ব্রেহ্মদিত্য কমিশন বসায়। কমিশন লক্ষ্য করে গানটি ভূতবিকতা বোধের উন্মেষ ঘটাচ্ছে। রাজা তৎক্ষণাৎ গানটিকে ভূতাদর্শ বিকাশের মন্ত্র হিসাবে ভূতীয় সঙ্গীত হিসাবে ঘোষোণা করেন। ধন্যবাদ অসংখ্য ধন্যবাদ ভবানীবাবুকে। উনি ভূত সমাজের জন্য যা করেছেন ভূতেরা ভবিষ্যতেও উনাকে মনে রাখবেন।

“হাঁউ-মাউ-খাঁউ রুটি

গোটা গোটা পাঁউরুটি

 মোটা মোটা লাউ দুটি

 খাঁওরে!

 হাঁউ-মাউ-খাঁউ রুটি

শোল-শাল-ল্যাটা-পুঁটি

 পেলে তিন দিন ছুটি

 চাঁউরে

 খেয়ে দেয়ে গুটি গুটি

 আহ্লাদে লুটোপুটি

 খাঁউরে।”

 তবে ব্রেহ্মদিত্য কমিশনের রেকমেন্ডেসন অনুযায়ী গানটিকে আমরা আমাদের অদ্ভুতুড়ে ভাষায় অনুবাদ করে গাই। ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের গানে (ঁ) র সংখ্যা কম থাকায় আমরা আরো বাড়িয়ে নিই।

প্রশ্ন : আমাদের বাংলা ভাষার সাথে আপনাদের অদ্ভুতুড়ে ভাষার ফারাক কি?

উত্তর : বাংলা ভাষার সাথে ফারাক বিশেষ কিছুই নেই তবে (ঁ) সংখ্যা বড় কম। অনুবাদ করাও সহজ। বাংলা ভাষার প্রতিশব্দের সাথে একটি (ঁ) যোগ করলেই অদ্ভুতুড়ে ভাষা।

 প্রশ্ন : মানুষ কি ভাবে ভূত হয়, আপনি জানেন?

 উত্তর : নিশ্চয়ই। নিজের অভিজ্ঞতা তো আছেই। 

  প্রশ্ন : Kindly যদি একটু খুলে বলেন?

 উত্তর : (মুচকি হেসে) প্রাইজ পাওয়ার ধান্দা করছেন বুঝি।

 প্রশ্ন : আপনারা মানুষের চেয়ে কতগুণ শক্তিশালী?

 উত্তর : (হোঁ হোঁ হোঁ করে হেসে) একটা মানুষ মরে পাঁচটা ভূতে (পঞ্চভূতে) বিলীন হয়, তা কি আপনি জানেন না।

 প্রশ্ন : আপনাদের ভবিষ্যৎ কি?

 উত্তর : অন্ধকার।

 প্রশ্ন : কেন?

 উত্তর : কি খেয়ে বাঁচবো। আপনারা তো আর ভূতমুড়ি ধানের চাষ করছেন না।

 প্রশ্ন : তবে কি আপনারা লুপ্ত হয়ে যাবেন?

 উত্তর : এতো আপনাদের সুপ্ত আশা। আশার মুখে ছাই, ভূতের ভয়ের থেকে মুক্তি মোটেই  নাই।  দেওয়ালে ঠেকেছে পিঠ দাঁড়াব ঘুরে, হবেই হবে এবার ভূতের জিৎ..।

 প্রশ্ন : বিজ্ঞানপ্রযুক্তির যুগে আপনারা এ আশা করেন কিভাবে?

 উত্তর : বিজ্ঞান! কিসের বিজ্ঞান। সবই তো আমাদের নকল করে। আপনাদের জৈবপ্রযুক্তির মূলেও আমরা। আরব্য উপন্যাসে ভূত হল  জিন বা জীনি (gene)। আর আপনারা ‘genie’ র ‘i’কে কায়দা করে বাদ দিয়ে ‘gene’ বানিয়ে বেশ করে কম্মে খাচ্ছেন। বলছেন বাইওটেকনোলজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। বাঃ বাঃ তালিয়া। আপনাদের সুখ বেশিদিন সইবে না। আমাদের ভূতটেকমিশন রেগে আছেন ভীষণ। বায়োভূত ফেরাবে ভূতেদের জীবন।

 প্রশ্ন : পরের জন্মেও যদি ভূত হতে হয় তবে কি ভূত হতে চান?

 উত্তর : মামদো ভূত।

 প্রশ্ন : কেন?

 উত্তর : মামদো ভূতের মতো প্রভাবশালী ভূত হলে গাছের মগডালে শুয়ে নাক ডাকতাম।

 প্রশ্ন : ভূত এবং মানুষ সম্পর্কে আপনার ধারণা কি?

 উত্তর : Bhut is odbhut but Manus is Bodbhut।






  বি : দ্রঃ

ঋনস্বীকার : ভবানীপ্রাসাদ মজুমদার।

১) প্রথম প্রকাশ : ভূমিপুত্র, বাৎসরিক সংখ্যা, ২০০৩

২) পরবর্তী কালে আমার 'দমফাটানো হাসির রম্য' বইটিতে স্থান পেয়েছে।


মন্তব্যসমূহ

  1. .ভূততের সাথে সাক্ষাতকার পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম...ধন্যবাদ

    উত্তরমুছুন
  2. বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে হাসির মোড়কে।

    উত্তরমুছুন
  3. খুব সুন্দর।

    উত্তরমুছুন
  4. ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক১৯ মে, ২০২৪ এ ৭:২২ PM

    ধন্যবাদ।ভালো থাকবেন।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কবিতা: মা আসছে

কবিতা : মান্তূদা

রম্য রচনা : এক ব্যস্ত মানুষের সাক্ষাৎকার