পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবিতা: মাসটা ভাবো ফাগুন

বাতাসে  গুলির  শব্দ মাসকেটর  আনাগোনা আকাশ ফাটা আর্তনাদ বাষ্প  চোখের জল। ফিনকি  দিয়ে  রক্ত  ছোটে লাফায়   কাতাহাট মাটিতে  নাকি পড়ে  আছে চাপ  চাপ  রক্ত দাগ। টাকা পয়সা হাঁস মুরগী ইজ্জ্বত ত্বক  লুট প্রাণের ভয়ে দিচ্ছে মানুষ সবকিছু   ফেলে  ছুট। মারছো  যাকে   সদলবলে কি  তার  অপরাধ জানো কি তুমি তারও  আছে বাঁচার  অধিকার। সবার  চেয়ে  বড় পরিচয়  তোমরা  মানুষ জেনো মানুষকে  মানুষ  বলে একটু তোমরা  মেনো। বুকের ভিতর  তুষের  আগুন ধিকি  ধিকি  জ্বলে হিংসাতেই  বাড়ে  হিংসা গুরুজনেরা  বলে। ভালোবাসা  দিয়ে  নেভাও তোমার মনের আগুন আনন্দের  আবীর  মাখো মাসটা  ভাবো  ফাগুন। --------------///----------- কবি : ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক রচনা: ২০.০৭.২০০৮

কবিতা :মায়ার সংসার

ভালোবাসা হিসেবের খাতা। বিশ্বাস শান দেওয়া ছুরি। স্নেহ তপ্ত মোম। মায়া  বড়ই মায়াবী। সম্পর্ক ভাজা পাঁপড়। তবুও ভালোবাসবে বিশ্বাস রাখবে স্নেহ কোরবে সম্পর্ক গড়বে কারণ সবই মায়া। ------ কবি :ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক

অণু কবিতা: আমি

প্রাণবায়ুতে               আমি                    দেহ নইলে                              আমি                      লাশ। কবি: ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক

কবিতা : আজকের দিন

ভাগ্য + চেষ্টা = ফল  ভাগ্য +ধান্দা+তৈল =সুফল (জলে মকর এবং বনে সিংহ থাকায় রাত্রি ৭/৪/১৩ থেকে ডাঙ্গায় বৃষের তাড়া খেয়ে গৃহে মেষ রাশিতে অবস্থান) মেষ :দাম্পত্য কলহ।ফোঁস না করে ম্যাও ম্যাও ডাকুন। বৃষ: ঝুট ঝামেলা যোগ।নিজের শিং এ মাটি তাড়ুন। মিথুন:প্রেমপ্রীতি যোগ।স্বপ্নালু চোখে বালিশে চুমু খান। কর্কট:প্রীতিসঙ্গ লাভ।মুখে মধু পকেটে টান। সিংহ:যোগাযোগ লাভ।তর্জন গর্জন ছাড়ুন, তৈলমর্দন করুন। কন্যা :সম্মান যোগ।ঢাক পেটানোর এই তো সুযোগ। তুলা:সমস্যাবহুল।ন্যাকা সেজে বোকা বোকা কথা বলুন। বৃশ্চিক :ভুল বোঝাবুঝি।হার্ট না ফাটিয়ে চিৎকারে হাট ফাটান। ধনু: ব্যয়বাহুল্য।প্রেমিকার সাথে যাত্রা নিষেধ। মকর :প্রাপ্তিযোগ।অর্থ, আঘাত,  পঞ্চত্ব  -একটি প্রাপ্তি হচ্ছেই। কুম্ভ :দুর্নাম যোগ।আগেভাগেই হাটে হাঁড়ি ভাগুন। মীন:দুর্ঘটনা যোগ।আপনি আছেন এটাই সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা।                            ------------- কবি :ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক 

কবিতা : বিজয়ার প্রার্থনা

যাবেই যখন যাও মা তুমি আসবে আবার পরের বছর। তোমার পুজোর জন্য আমি বাঁচতে চাই যে হাজার বছর। আমরা অধম রইবো পড়ে মর্ত্যলোকে মর্ত্যবাসী। আসবে তুমি পরের বছর মোদের মুখে ফুটবে হাসি। এবার তুমি মর্ত্যভূমে  ভাল মানুষ পাঠিও কিছু নিত্য নতুন মানুষ মারার বানাবেনা যারা ইস্যু। দুখেই থাকি সুখেই থাকি থাকবে মোদের পাশাপাশি। সুখ দুঃখের সাথী হয়েই ফোটাবে যারা মুখের হাসি। রোদ বৃষ্টি ঝড়ে যারা যুদ্ধ করে ফসল ফলায়। নষ্ট যেন এবার না হয় বানের জলে  এক লহমায়। বানের জলে গরু ছাগল বসতবাড়ী ভাসলো যাদের নুতনবাড়ী গড়ার আশীষ দু হাত ভরে দিও তাদের। ঐ যে ছেলে উদোম গায়ে ঘুরলো এবার পূজোর দিনে পরের বছর পারে যেন মা পরতে নতুন জামা কিনে।            ।।  ।   । কবি: ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক

অণু কবিতা :আজ মহানবমী

আজ মহানবমী। খবরটা বাতাসে ছড়িয়ে পড়তেই ফার্মের যত ব্রয়লার কঁকিয়ে উঠলো ছাগলগুলো আর্তস্বরে ভ্যাবাতে লাগলো 'জয় মা মা গো ' উল্লাসে কাঁপলো বাতাস রক্ত ছুটলো ফিনকি দিয়ে..... কবি :ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক

অণু কবিতা : উড়ু উড়ু

উড়ো চিঠি উড়ো ফোন উড়ু উড়ু মন উড়োউড়ি শোনা কথা রাখিস গোপন। কবি :ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক

কবিতা : ভাঙন

পৃথিবী ভাঙলে সুনামীর ঢেউ ছুটে আসে দেশ ভাঙলে নদীর জল লাল হয় দল ভাঙলে  অজুহাত ওঠে ঘর ভাঙলে হৃদয় আগুনে পুড়ে ঘুম ভাঙলে  স্বপ্ন দেখে চোখ স্বপ্ন ভাঙলে হারিয়ে যায় সব --- কবি :ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক

কবিতা: মা আসছে

ছবি
  মন বলছে মা আসছে। মাকে কত কথা বলবো ভাবি  বলতে পারি না।  মনের কথা মনেই রয়ে যায়।  আগেরবার ইচ্ছে হয়েছিল বলি-  মা গো  মা পরেরবার যেন  বউটাকে নতুন শাড়ি ছেলেটাকে  নতুন জামা দিতে পারি মা। বলতে পারি নি। মনে মনে বলতে গেলাম অসুর নিধনে  ফাঁকি দিস না যেন মা! মনের কথা  রয়ে গেল মনেই....  আসলে মা এসেছে তাই  আনন্দেই সব গেলাম ভুলে।  এবার কিন্তু বলবোই বলবো-  মা আমাকে অসুর বানিয়ে দে মা  আমাকে অসুর বানিয়ে দে। কবি: ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক