পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবিতা: মাসটা ভাবো ফাগুন

বাতাসে  গুলির  শব্দ মাসকেটর  আনাগোনা আকাশ ফাটা আর্তনাদ বাষ্প  চোখের জল। ফিনকি  দিয়ে  রক্ত  ছোটে লাফায়   কাতাহাট মাটিতে  নাকি পড়ে  আছে চাপ  চাপ  রক্ত দাগ। টাকা পয়সা হাঁস মুরগী ইজ্জ্বত ত্বক  লুট প্রাণের ভয়ে দিচ্ছে মানুষ সবকিছু   ফেলে  ছুট। মারছো  যাকে   সদলবলে কি  তার  অপরাধ জানো কি তুমি তারও  আছে বাঁচার  অধিকার। সবার  চেয়ে  বড় পরিচয়  তোমরা  মানুষ জেনো মানুষকে  মানুষ  বলে একটু তোমরা  মেনো। বুকের ভিতর  তুষের  আগুন ধিকি  ধিকি  জ্বলে হিংসাতেই  বাড়ে  হিংসা গুরুজনেরা  বলে। ভালোবাসা  দিয়ে  নেভাও তোমার মনের আগুন আনন্দের  আবীর  মাখো মাসটা  ভাবো  ফাগুন। --------------///----------- কবি : ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক রচনা: ২০.০৭.২০০৮

কবিতা : বুঝে নিন

ছবি
ঢাক  ঢোল  পিটিয়ে কাদা  জল  ছিটিয়ে ডান্ডা। কাটা  ঘা  খুঁচিয়ে দিয়ে  নুন  ছিটিয়ে ঠান্ডা। থাকে  পায়ে  চিটিয়ে হাসে   দাঁত  খিঁচিয়ে ধান্দা। লাঠি  দিয়ে  পিটিয়ে টাকা  নেয়  কাড়িয়ে গুন্ডা। চুপচাপ  গালে  হাত উড়ে  নাই  মাছি  ভাই মন্দা। উস্কানি  ওষুধে সুড়সুড়ি মগজে ভাইয়ে  ভাইয়ে  মারামারি দাঙ্গা। ফ্যাশনের  আলোকে নাচি মোরা পুলকে আসলে  আমরা  সব নাঙ্গা।                -------/--/ কবি : ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক কবিতাটি ২০০৮ সালে প্রকাশিত আমার বই 'আমি আসছি 'তে  আছে।

কবিতা :ফ্রি

ছবি
দুটি  কিনলে একটি ফ্রি ফ্রিজ কিনলে মিক্সি ফ্রি। টুথপেস্টে ব্রাশ  ফ্রি টেপ কিনলে ক্যাসেট ফ্রি। চালের  সাথে  কাঁকর ফ্রি ধানের  সাথে  আখড়া ফ্রি। ভাজা মটরের  শব্দ ফ্রি মাংসের  সাথে  রক্ত ফ্রি। মাছ  কিনলে  আঁশ ফ্রি মুরগীর সাথে পালক ফ্রি। বাতাসের  সাথে  দূষণ ফ্রি জলের  সাথে জীবাণু ফ্রি। চুলের  সাথে উকুন  ফ্রি ভাগাড়ে  উড়ে শকুন  ফ্রি। ধরলে পুলিশ  ডান্ডা ফ্রি পাহাড়ে  গেলে ঠান্ডা ফ্রি। মায়ের কোলে আদর ফ্রি শিশুর  মুখে হাসি ফ্রি। রাস্তাঘাটে  জ্যাম  ফ্রি মেলার  ভিতর  ঠেলা ফ্রি। উঠলে  বাসে ঝাঁকুনি ফ্রি শীতের  রাতে  কাঁপুনি ফ্রি। ঝড়ের  সাথে  ধূলো  ফ্রি বৃষ্টির  সাথে শিলা  ফ্রি। হোটেলে  গেলে জলটা ফ্রি চা  দোকানে  আড্ডা  ফ্রি। রোদ  গরমে  ঘামাচি  ফ্রি ঘামের  সাথে  গন্ধ ফ্রি। বাঁশ  কিনলে  কঞ্চি  ফ্রি উলু খাগড়ার  প্রাণটা  ফ্রি। ভালোবাসলে  আঘাত ফ্রি দাম্পত্যে   কলহ   ফ্রি। রান্নাঘরে  ইঁদুর  ফ্রি বিয়ের  পর  সিঁদুর  ফ্রি। রসগোল্লার  রসটা  ফ্রি সিঙ্গাড়া খেলে চাটনি ফ্রি। চুরির  সাথে  পিটুনি  ফ্রি আয়নার সাথে চিরুণী ফ্রি। রাগলে 'বস' ধমক  ফ্রি পুজোর  আগে  চমক  ফ্রি। সূর্যাদেবের  রোদটা  ফ্রি চাঁদামামার জ্যো

কবিতা: তোমার হাসিমুখের খোঁজে(কল্পনা চাওলা স্মরণে)

ছবি
একদিন তুমি মাটি থেকে তাকাতে আকাশে একদিন তোমার স্বপ্নরা ছুঁয়ে যেত আকাশে তারাদের তবে কি তুমি আকাশকে ভালোবেসে আকাশেই রয়ে গেলে? আজ একবার আকাশ থেকে মাটির দিকে তাকিয়ে দেখো সব ফুল পড়ে গেছে হাতের থেকে। ভেজা চোখে তাকিয়ে সকলে আকাশের দিকে আকাশের তারাদের মুখে তোমার হাসিমুখ খোঁজে।                      ------///-–- কবি: ডঃ গৌতম কুমার মল্লিকা বি:দ্র: কবিতা টি ২০০৮ সালে প্রকাশিত আমার কবিতা ও না-কবিতা র বই 'আমি আসছি' তে আছে।

কবিতা: দিনের শেষে

ছবি
পুতুল খেলার দিন হয়েছে শেষ এখন  আমি ধরেছি পুতুল  বেশ। বাবার ধমকানি  মায়ের আদর  খেয়ে সকালবেলায় খোকা পুতুল সাজি মাস্টামশাই  ছড়ি দিয়ে মাপেন ভবিষ্যতে বড় হবে না পাজি। দুপুরবেলা বাবা পুতুল সেজে বোবা হয়ে ভবের  হাটে  ঘুরি সুখ দুঃখ যে যতটা পারি বাজার থলি ভরি। সন্ধ্যেবেলায় দাদু পুতুল সেজে হিসেব নিকেশ করি এতদিন তো পুতুল ছিলাম আমি এবার তবে পার করো হে হরি।                      --//// কবি:ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক বি:দ্রঃ কবিতা টি ২০০৮ সালে প্রকাশিত আমার কবিতা ও না-কবিতার বই 'আমি আসছি' তে  আছে।

পোস্ট মডার্ন পয়েট্রি : মানব অঙ্গ- প্রত্যঙ্গ

ছবি
চুল   --চিরুণী  এখানেই  তল্লাশি চালায়। মাথা --যাবতীয়  ব্যথা  কারণ। কপাল -- যাবতীয় দোষ ইহার ঘাড়ে বর্তায়। ভ্রু   --- আশ্চর্যান্বিত  বোঝাতে কোঁচকাতে হয়। চোখ --রাঙানোর  অঙ্গ  বিশেষ। নাক -- অপ্রয়োজনে গলানোর কাজে লাগে। কান ---সবচেয়ে  অপমানজনক  অঙ্গ। ঘাড়--- ধাক্কা দেওয়ার  উপযুক্ত  অঙ্গ। ঠোঁট---চুমু  খাওয়ার কাজে লাগে। মুখ --- মুখোশ  পরার  অঙ্গ বিশেষ। গাল --আলতো  টিপলে  আদর  হয়। বুক --- বেদনা জমানোর  ডিপফ্রীজ। হাত --- কড়া  এখানেই  পরানো  হয়। আঙ্গুলি---ইহার  হেলনে  অনেক কিছুই হয়। পেট---যাবতীয়  উন্নয়নের  চাবিকাঠি। পাছা---লাথি  মারার  সর্বোত্তম  স্থান। হাঁটু--- বাতজ  বেদনা  উপভোগের  অঙ্গ। পা ---- ল্যাং  মারার  অঙ্গ  বিশেষ। হাড় --- বজ্জাতি  এখানেই  লুকিয়ে  থাকে। মেরুদণ্ড ---- মচকালে আখেরে  লাভ।                -------------*--------------- কবি :ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক কবিতাটি ২০০৮ সালে প্রকাশিত আমার কবিতা ও না কবিতার বই 'আমি আসছি'তে আছে।

কবিতা :অর্ধেক পৃথিবী

ছবি
শুক্রাণু  আনন্দে  গদগদ ডিম্বাণু  হয়েছে    কেনা। ডিম্বাণুর ও  খুশির  সীমা  নাই হয়েছে  কিছু  আয়। জঠরও  আল্লাদে  আটখানা শুধু  সময়ের  অপেক্ষা । কেঁদে  উঠলো  যে অর্ধেক  পৃথিবী  তার  নেই।         --/---///---- কবি: ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক বি:দ্র: কবিতা টি ২০০৮ সালে প্রকাশিত আমার কবিতা ও না -কবিতা র বই 'আমি আসছি' তে আছে।

কবিতা :শোক

ছবি
বোবা মুখ চোখ নিশ্চুপ। স্তব্ধ হাওয়া বন্ধ খাওয়া। থর থর থর হৃদয়েতে জ্বর। স্মৃতির পাতা উল্টাতে থাকা।         -------- কবি :ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক বি:দ্রঃ ২০০৮ সালে প্রকাশিত আমার কবিতা ও না-কবিতা র বই 'আমি আসছি'তে এই কবিতাটি আছে।

কবিতা :ভূতের হালচাল

ছবি
ভূতের নেইকো ভোট ভূত বাঁধে না জোট সময় সুযোগ মতো ভূত পাকায় শুধু ঘোট। ভূত পাড়ে না ডিম না দেয় বিশ্বকাপে টিম ভূতের ভয়ে তবুও মানুষ খায় শুধু হিমশিম। খায় না ভূতে মদ ভূতের স্বভাব নয় তো বদ মাঝ রাতেতে পেত্নির সাথে করে শুধু ভদভদ। ভূতের নেইকো বাজে চাল ভূত করে না নোট জাল ভূতের শুধু ভালো লাগে শ্যাওড়া গাছের ডাল। ভূতের লোভ নেই রে বেলে না আছে লোভ তেলে ভালো ভালো বর দিয়ে দেয় গুপী বাঘাকে পেলে।             ----//// কবি:ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক বি:দ্র: কবিতা টি ২০০৮ সালে প্রকাশিত আমার কবিতা ও না-কবিতা র বই 'আমি আসছি'তে আছে।

কবিতা :হে প্রথম বৈজ্ঞানিক

ছবি
তোমার দেখানো পথে বাস ট্রেন উড়োজাহাজে চড়ে পৌঁছে গেছি মোরা এটম বম্বের দেশে। আজকে মোরা চাঁদে যেতে পারি। আশ্চর্য হবে না কেউ যদি মঙ্গলে পা রাখি। মোরা জীবন দিতে পারি তবুও ব্যস্ত থাকি জীবন নেওয়ার খেলায় সভ্য মুখোশ খুলে পড়ে যায় এক দমকা হওয়ায়। হে প্রথম বৈজ্ঞানিক  তুমিই না পুঁতেছিলেন সভ্যতার বীজ আবার তুমি এসো লাগাও নতুন চারাগাছ বাইরে নয় রক্তে লাগুক সভ্যতার দাগ।              ------------ কবি: ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক বি:দ্র:  কবিতা টি ২০০৮ সালে প্রকাশিত আমার কবিতা ও না-কবিতার বই 'আমি আসছি' তে  আছে।

কবিতা :বিবেকের সাথে কিছুক্ষণ

ছবি
বিবেকের সাথে সেদিন হঠাৎ দেখা। বললাম 'কি ব্যাপার আজকাল আর তোমার দেখাই তো পাই না।' আমার কথা শুনে বিবেক হো হো করে হেসে উঠলো। বললো ,'আগে আমাকে আয়নাতে  রাখতে।আর আমিও সময়মতো একটু দংশন করার সুযোগ পেতাম। আর এখন তো আমি ডিপ ফ্রিজে ----------নিরেট বরফ।                   ----------// কবি : ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক কবিতা টি আমার ২০০৮ সালে প্রকাশিত কবিতা ও না-কবিতার বই 'আমি আসছি'তে আছে।

কবিতা :ধান্দাবাজির ধারাপাত

ছবি
বসের হাঁটাচলা ওঠাবসা পছন্দ অপছন্দে আপনার শকুনচোখ কে ব্যস্ত থাকতে বলুন। বসের হাসির রেশের সাথে তালমিলিয়ে আপনার গাল ঢেউ তুলতে পারছে কি না একটু ভেবে দেখুন। লক্ষ্য রাখুন আপনার মুখ নিঃসৃত কথাগুলি যেন গদগদ  কম্পনযুক্ত হয়। আপনার প্যাসিভ স্মোকিং এর পরিমাণ বসের একটিভ স্মোকিং এর সমান রাখার  চেষ্টা করুন। আপনার তেলচুকচুকে বডি ল্যাংগুয়েজকে  ন্যাকামি মিশিয়ে আরও মোলায়েম করুন। ওস্তাদ ,নজরটা ভাগাড়ে রাখতে ভুলবেন না যেন!                         ----------/// কবি: ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক কবিতা টি ২০০৮ সালে প্রকাশিত আমার কবিতা ও না-কবিতা র বই 'আমি আসছি' তে আছে।

কবিতা : হারিয়ে গেছে চুষিকাঠি

ছবি
লালা ভিজানো চুষিকাঠি কবেই হারিয়ে গেছে। এখন, অদৃশ্য কাঠি পিছনে  দেওয়ায় রপ্ত হয়েছি বেশ। অবশ্য, অদৃশ্য ধামা থাকে হাতে চাপা দিতে পারলেই বল হরি হরি বোল-----------                   ------- কবি : ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক বি:দ্র: কবিতা টি আমার  কবিতা ও না কবিতার বই 'আমি আসছি'তে আছে।

কবিতা :কবি

ছবি
মানুষকে ভালবেসে মানুষের পাশে থেকে একে যান সমাজের ছবি                 প্রতি অক্ষরে। মাটির মানুষ তিনি মাঠে ঘাটে যান তিনি তবু ঝড় তুলে দেন                  হিমঘরে। চোখ খুলে দেন তিনি আসল নকল চিনি মুখোশটি খুলে দেন             মুখের থেকে। সংগ্রামী মন তার সমাজটা পাল্টান সজোরে মারেন ঘা ঘুনধরা সমাজের বুকে।              ।।।।। কবি : ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক বি:দ্র: কবিতাটি ২০০৮ সালে প্রকাশিত আমার কবিতা ও না কবিতার বই 'আমি আসছি'তে আছি। 'আমি আসছি' তে 

অণুকবিতা :লজ্জা

ছবি
মুখে বলে -ছি ! মনে- বেশ করেছিস শিহরণ, গালে টোল ঠোঁটের কোণে চাঁদের হাসি। কবি :ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক অণু কবিতা টি  ২০০৮ সালে আমার কবিতা ও না কবিতার বই 'আমি আসছি 'তে আছে।

স্লোগান :শব্দবাজী আর নয়

                               (১)                               শব্দবাজী  নিপাত  যাক                    দেশের  মানুষ ভালো থাক।                                   (২)                          রাত্রে  মাইক  নয়                          রোগীর কষ্ট  হয়।                                  (৩)                         শব্দ দূষণ  যেন                       মাত্রা ছাড়ায়  নাকো।                                 (  ৪)                          শব্দ বাজী নয়                          শব্দে  রোগীর ভয়।                                      (৫)                           তুমি  তো  খুব  পাজি                            রাত্রে  ফাটাও  বাজী। রচনা : ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক বি:দ্র: মানুষকে সচেতন করতে যে কেউ স্লোগানগুলি ব্যবহার করতে পারবেন এতে আমার কোন আপত্তি নেই। প্রথম প্রকাশ : ভূমিপুত্র, বর্ধমান,৯ ,জানুয়ারি ২০১৩।

অণুকবিতা :গান

ছবি
মানুষের কথা প্রকৃতির সুর হৃদয়ের স্রোতে ভেসে যায় বহুদূর। কবি ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক বি:দ্র:  কবিতাটি 2008 সালে প্রকাশিত আমার কবিতা ও না কবিতা র বই 'আমি আসছি' তে আছে।

অণুকবিতা :প্রেম

গোল গোল চোখ করে মুখ বলে বটে। চটিলেই পটে। কাঁঠালের আঁঠাসম বড় চটচটে। ----------- কবি :ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক।